এই কর্মব্যস্ত জীবনধারায় চুলের যত্ন করা আমাদের হয়েই ওঠে না! কেনো যেনো আমরা চুলের সুস্থতা নিয়ে কিছুটা উদাসীন মনোভাব পোষণ করি। যেটা এর স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য এবং বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। প্রতিদিনের দূষণ থেকে রক্ষা পেতে চুলকে পরিষ্কার রাখা একান্তই প্রয়োজন। কেননা বাইরের ধূলাবালি ও দূষণের কারণে চুলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। খুব অল্প সময়ে চুলকে পরিষ্কার রাখতে আমরা শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। অথচ আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে শ্যাম্পু ব্যবহার করলে তা ফলপ্রসূ হয়!
চলুন ঝট করে জেনে নেই শ্যাম্পু করার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস:
চুল ভেঙে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে শ্যাম্পু করার পূর্বে চুল ভালভাবে ভিজিয়ে নিন। শ্যাম্পু সরাসরি চুলে না লাগিয়ে আগে হাতের তালুতে ঘষে নিন। তারপর সারা চুলে উক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। পুরো চুলে ফেনা করা হয়ে গেলে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই চুল ধুয়ে ফেলুন। বেশিক্ষণ চুলে শ্যাম্পু লাগিয়ে রাখা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
শ্যাম্পু করার পর উষ্ণ পানি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। কেননা, ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
চুল পুরোপুরি না শুকানোর আগ পর্যন্ত চুল আচরাবেন না। ভেজা চুল আচড়ালে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে! যদি চুলে কালার করে থাকেন তবে কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা পরে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে কালার দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যদি চুল ঠিক রাখতে অধিক হারে কন্ডিশনার, হেয়ার স্প্রে ইত্যাদি প্রসাধনী এবং চুল শুকাতে হেয়ার ড্রাইয়ার ব্যবহার করেন তবে চুলের pH কমে গিয়ে ক্ষতি হতে পারে। এজন্য সপ্তাহে একবার শ্যাম্পুর সাথে ১ টেবিল চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে নিন। তাহলে চুল শুষ্ক হবে না এবং চুলের মসৃণতা বৃদ্ধি পাবে।
হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। নমনীয় রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করুন। এতে চুলের উপর চাপ কমবে এবং চুল পড়া রোধ হবে। সময় পেলে শ্যাম্পু করার আধা ঘন্টা আগে মেয়োনিজ দিয়ে চুলকে কন্ডিশন করে নিন। এতে চুল সন্দর ও ঝরঝরা থাকবে।
চুলে শ্যাম্পু করার ঘন্টাখানেক পূর্বে চুলের গোড়ায় তেল ব্যবহার করুন। এরপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মিনিট দশেক সেই তোয়ালে কিছুক্ষণ মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন৷ এবং সবশেষে উপরোক্ত উপায়ে শ্যাম্পু করুন।