মাথার ত্বকের যত্নে তেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নারী পুরুষ উভয়ের চুলের যত্নে তেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী। এছাড়া এখন গরমের যে তীব্রতা দেখা দিয়েছে তা থেকে রক্ষা পেতে হলেও তেলের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।
এখন আসুন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি তেল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় অজানা কিছু তথ্যঃ
১. নারিকেল তেলঃ চুলে তেল দেওয়ার কথা মনে পরতেই সবার আগে মনে পড়ে নারিকেল তেলের কথা৷ কেননা আমাদের দেশে নারিকেল তেল বহুল প্রচলিত। এই তেল সবধরনের চুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। চুলের শুষ্কতা দূর করে। খুশকি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
২. অ্যাভোকাডো তেলঃ যাদের প্রচুর চুল পড়ছে, চুলের আগা ক্রমেই ভেঙে যাচ্ছে এবং চুলে স্তর পড়ছে তাদের এসব সমস্যা সমাধানের উপায় আছে অ্যাভোকাডো তেলে। এই তেলকে বলা হয় লাইট অয়েল কেননা এই তেল খুবই হালকা এবং মসৃণ। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, ডি, ই আর প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। এছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফলিক এসিড ও অ্যামাইনো এসিড। চুলের উপরোক্ত সমস্যা সমাধানে অ্যাভোকাডো তেলের ভূমিকা অনেক।
৩. আমন্ড তেলঃ আমন্ড অয়েল বা বাদাম তেল চুলের ময়লা, ধুলোবালি দূর করে চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে। যাদের সারাক্ষণ বাইরে বাইরে কাজ করতে হয় এবং সারাক্ষণ কড়া রোদ ও ধূলোময়লার সংস্পর্শে থাকতে হয় তারা নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন আমন্ড অয়েল।
৪. জোজোবা তেলঃ যাদের চুল শুষ্ক, চুলে অযথা জট লাগে, খুশকি সমস্যা প্রকট তাদের জন্য উপযোগী তেল হলো জোজোবা তেল। এই তেল চুলের শুষ্কতা দূর করে চুলকে করবে কমনীয় এবং ঝরঝরে।
৫. অলিভ তেলঃ যাদের চুল নমনীয় নয় তাদের চুলের উপযোগী অলিভ তেল। এই তেল চুল কন্ডিশনিং এর কাজ করে থাকে। চাইলে কন্ডিশনারের বদলে ব্যবহার করতে পারেন জলপাই তেল। এই তেলে কোনোরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। মাথার ত্বকের জন্য এই তেল বেশ কার্যকরী।